উৎপাদন ক্ষেত্র ও পদ্ধতিভেদে ফসলের শ্রেণিবিভাগ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - এগ্রোবেসড্ ফুড -১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
1

উৎপাদন ক্ষেত্রভেদে : উৎপাদন ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য ও পরিচর্যার উপর নির্ভর করে কৃষি ফসলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) মাঠফসল বা কৃষিতাত্ত্বিক ফসল । 

(খ) বাগান ফসল বা উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল ।

(ক) মাঠ ফসল : যে সমস্ত ফসল বা শল্যকে একসাথে বড় এবং বিস্তীর্ণ মাঠে চাষাবাদ করা হয় এবং প্রতিটি গাছকে এককভাবে যত্ন নেওয়া হয় না, তাকে মাঠ ফসল বলে। যেমন- ধান, গম, ডাল, ভুট্টা, আখ, আলু ইত্যাদি। এক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে ফসলের যত্ন নেওয়া হয়। জমিতে প্রতিটি গাছের জন্য আলাদাভাবে ও নিখুঁতভাবে যত্ন নেওয়া হয় না ।

(খ) বাগান বা উদ্যান ফসল : সাধারণত যে সমস্ত ফসলের প্রতিটি গাছকে রোপণ বা বপনের সময় থেকে কর্তন বা ফসল সংগ্রহ করা পর্যন্ত পৃথকভাবে যত্ন নেওয়া হয় তাকে উদ্যান ফসল বলে। যেমন- আম, কাঁঠাল, নারিকেল, কলা, পেঁপে, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি। উদ্যান ফসলের প্রতিটি চারা গাছের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া হয় এবং খুব সতর্কতার সাথে জমি প্রস্তুত করা হয়।

উৎপাদন পদ্ধতিভেদে : উৎপাদন পদ্ধতিভেদে কৃষি ফসলকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- (ক) বৃষ্টি নির্ভর ফসল ও (খ) আর্দ্র বা সেচ প্রাপ্ত ফসল।

(ক) বৃষ্টিনির্ভর বা শুষ্ক ফসল : যে সকল ফসলে সেচের জন্য প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে চাষ করা হয় সে ফসলকে বৃষ্টিনির্ভর বা শুল্ক ফসল বলে। যেমন- আউশ ও আমন ধান, গম, ডালশস্য, সরিষা, তিল, পাট, ভুট্টা, চিনা, কাউন ইত্যাদি। বার্ষিক বৃষ্টিপাত যেখানে ৫০০ মিলিমিটার সেসব এলাকার এ ফসল ভালো মনে।

(খ) আর্দ্র বা সেচ প্রাপ্ত ফসল : যে সকল ফসল বা শস্য সেচ ছাড়া চাষাবাদ করা যায় না সেগুলোকে সেচ প্রাপ্ত ফসল বলে। এ সকল ফসল আবাদে কৃত্রিম সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। যেমন- উচ্চ ফলনশীল ধান, বোরো ধান, আলু, শীতকালীন সবজি যেমন- টমেটো, ঢেঁড়স, মরিচ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালংশাক ইত্যাদি। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৭৬০ মিলিমিটারের বেশি এবং যেখানে পানি আটকিয়ে সেচ দেওয়া যায়, সেখানে এ ফসল ভালো হয়। এ ধরনের কৃষিকাজ ব্যয়বহুল। এ জন্য গভীর নলকূপ ও অগভীর নলকূপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে সেচকাজ করা হয়। তাছাড়া খাল, বিল, নদী নালার পানি সেচের মাধ্যমেও ফসল উৎপাদন করা হয়।

Content added By
Promotion